ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুক্তাগাছায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মুক্তাগাছায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মুক্তাগাছায় বিয়ের তিন মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছে স্বামী-শাশুড়ি, ননদসহ পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকালে মুক্তাগাছা উপজেলার বাশাটি ইউনিয়নের চেরুমন্ডল এলাকায়। নিহত তাহমিনা আক্তার (১৮) ওই গ্রামের নাছিমের পুত্র ছোয়াদের স্ত্রী। ছোয়াদের আগের ঘরেও স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, চেরুমন্ডল এলাকার নাসিমের ছেলে ছোয়াদ তিন মাস আগে জামালপুর সদর উপজেলার শৈলাকান্দা গ্রামের জুয়েল মিয়ার মেয়ে তাহমিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি বিন্দু বেগম বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন তাকে। নির্যাতনের বিষয়টি মাঝেমধ্যেই গৃহবধূ তাহমিনা মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতেন। গত মঙ্গলবার বিকালে বিন্দু বেগম মোবাইল ফোনে তাহমিনার মাকে জানান, তার মেয়েকে কোনো কিছুই শিখায় নাই, তার মেয়ে ভাত রাঁধতেও জানে না। এ নিয়ে রাতে নববধূ তাহমিনার সাথে শাশুড়ি বিন্দু বেগমের কথাকাটাকাটি হয়। পরে রাত ৮টার পর গৃহবধূ তাহমিনার বাবার বাড়ি থেকে মেয়ের স্বামীর বাড়ির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পায়নি। গতকাল সকালে এক প্রতিবেশী গৃহবধূর বাবাকে মোবাইল ফোনে জানান, তার মেয়ে মারা গেছেন। খবর পেয়ে তাহমিনার বাবা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনার পর থেকে তাহমিনার শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও স্বামীসহ সবাই পলাতক এবং সবার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত