চাঁদপুর পৌরসভার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১৪ কোটি ২৪ লাখ, ১৬ হাজার ২১৯ টাকার উন্নয়ন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব বাজেট ঘোষণা হয়েছে ৪২ কোটি ৭০ লাখ, ১ হাজার ৭৪৮টাকা। পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, বর্তমান পৌর পরিষদ করোনা কালীন ৫০ কোটি টাকা দেনার ভার নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে, ৩২ কোটি টাকা দেনা পরিশোধ করে অল্প সময়ে নিজস্ব আয় থেকে ৫০ কেটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে। গতকাল শনিবার বিকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাজেট ঘোষণা করেন পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়ে একটি পরিচয় পেলাম, কাজ করার সুযোগ ও সম্মান পেলাম। আমরা জাতির জন্য কি দিতে পারলাম, কেমনভাবে এবং কতটা দিতে পারলাম, কোথায় পারলাম না, কেন পারলাম না। এই যে আমাদের দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার একটি জায়গা আছে। আজকের এই বাজেট ঘোষণা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মন্ত্রী বলেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকার দেনা নিয়ে এই পরিষদের পথ চলা শুরু। চাঁদপুরবাসী মন-প্রাণ দিয়ে এই পরিষদকে বিগত প্রায় ৩ বছর পূর্বে দায়িত্ব দিয়েছিল। মেয়র তার পরিষদ নিয়ে কাজ করে চলেছে। এত দেনা মাথায় নিয়েও তারা হাসিমুখে কাজ করে চলছে। মাত্র ২ বছর ৮ মাসে প্রায় ৩২ কোটি টাকার দেনা
পরিশোধ করে দিয়েছেন এবং বর্তমানে কোনো দেনা করেনি। এই পরিষদের পক্ষেই সম্ভব হালনাগাদ করে আনা। দেনা পরিশোধ করে পৌরসভার উন্নয়নের কাজও চলছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)।
এ সময় পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, চাঁদপুর পৌর সভার দায়িত্ব নিয়েছি, তখন বিশ্বব্যাপী করোনা ছিল। প্রায় ৫০ কোটি টাকার দেনার ভার মাথায় নিয়ে।
২ বছর ৮ মাস দায়িত্ব পালনকালে কোনো দেনা না করে প্রায় ৩২ কোটি টাকা দেনা পরিশোধ করেছি। বাকি সব দেনা পরিষদের মনোভাব আমার রয়েছে। পৌর কর্মচারীদের বিগত সময় ৫/৬ মাসের বেতন বকেয়া থাকত, সে বেতন পরিশোধ করে এখন নিয়মিত পৌর কর্মচারীর প্রতিমাসে বেতন পাচ্ছে।
বিভিন্ন স্থানে পৌর সভার ৭৪টি মিটার ছিল এবং কোটি কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি ছিল। সে বিল পরিশোধ করেছি। এখন ৩৪টি মিটারে পরিণত করেছি। এখন আর বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকবে না। পৌর নাগরিকদের কোনো ট্যাক্স বৃদ্ধি করিনি। যেসব বিল নাগরিকরা ফাঁকি দিত সেসব ফাঁকিকৃত ট্যাক্স পরিষদের আওতায় এনেছি। আমার দায়িত্বকালীন সময়ে দেনা পরিশোধ করেও প্রায় ৫০ কোটি টাকার নতুনভাবে কাজ সম্পন্ন করেছি। বর্তমান পরিষদ এত বড় উন্নয়ন কাজ করেছে, বিগত বছরে তা হয়নি। এখনো এ পরিষদ নিজস্ব আয় ও অন্য খাত থেকে উন্নয়ন করে যাচ্ছে। সাবেক ছাত্র নেতা ও পৌর কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বাবু পাটোয়ারির সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল লতিফ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, শহীদ পাটোয়ারি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শওকত আলী, সময় টিভির স্টাফ রিপোটার ফারুক আহমেদ, মিজানুর রহমান, এমআর ইসলাম, রফিক বাবু।
বাজেট অনুষ্ঠানে পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।