মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান সুজিত রায় নন্দীর

চাওয়া-পাওয়ার হিসাবে বাদ দিয়ে মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৎস্যজীবী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সুজিত রায় নন্দী বলেন, নিজের স্বার্থ না দেখে দেশ-জাতি ও দলের স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ অপরিহার্য নয়। অতীতের সব কলহ ভুলে গিয়ে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের চাওয়া-পাওয়া একটাই শেখ হাসিনার আলোকিত বাংলাদেশকে সমুজ্জ্বল রাখা। আমাদের টার্গেট হচ্ছে, অশুভ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদের হাত থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষা করা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, পাকিস্তানের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। শেখ হাসিনা পুনরায় নির্বাচিত না হলে এই দেশ একশ’ বছর পিছিয়ে যাবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশ-বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের এক ও অভিন্ন থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, প্রতিহিংসা নয়। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কোনো অপশক্তি পরাজিত করতে পারবে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন কোনো কর্মসূচি দেয়, তখন দেশের জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়, তারা শঙ্কিত থাকে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও স্বস্তির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করে দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা পুনরায় সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দিতে চাই না।

মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আজকে মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মী শপথ নিতে হবে, দেশের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। আপনাদের সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সরকারে উন্নয়ন-অর্জন জনগণের ঘরে-ঘরে গিয়ে প্রচার করতে হবে।