উখিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের ঘিলাতলীর মৃত মোজাহের মিয়ার পুত্র আব্দুস শুক্কুর কর্তৃক উখিয়া থানায় দায়েরকৃত সাজানো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছে ভুক্তভোগীরা। গতকাল সোমবার বিকালে উখিয়া প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী শাহ আলম, সৈয়দ আলম, সাদ্দাম হোছেন ও মো. আব্দুর রশিদের পরিবারের পক্ষে ভুক্তভোগী শাহ আলম। এ সময় শাহ আলম বলেন, টেকনাফের আব্দুস শুক্কুর, নুর আলম, সিফাত মিয়া, পল্লি ডা. আব্দুর রশিদ, মো. মুবিন, আব্দু জলিল গং-এরা গরু ও মহিষ বেচাকেনার ব্যবসা করে। সেই সুবাদে আমরাও গরু, মহিষ ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায়ী হিসাবে তাদের কাছ থেকে ১৫টি গরু সরবরাহ ক্রয় করার চুক্তিতে বিগত ৫ মে উখিয়া রাজাপালংয়ের সিকদার বিল গরু বাজারে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পর্যাক্রমে নুর আলম ৫ লাখ টাকা, সিফাত মিয়া ৪ লাখ টাকা পল্লি চিকিৎসক আব্দুর রশিদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম বাবদ নগদ গ্রহণ করে। তিনি বলেন, মূলত মো. মুবিন ও আব্দু জলিলের কথামতো আমরা টাকা অগ্রিম প্রদান করি। কিন্তু তারা অগ্রিম টাকা নিলেও তাদের সঙ্গেহ মৌখিক চুক্তি ও কথামতো গরু সরবরাহ করেনি এবং কয়েকবার যোগাযোগ করেও তাদের কাছ থেকে গরু পাইনি। এমতাবস্থায়, তারা আমাদের গরু সরবরাহ দিতে পারবে না বুঝতে পেরে পরবর্তী সময়ে তাদের কাছে দেওয়া-পাওনা টাকাগুলো ফেরত চাইলে তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে, টাকা আজ দেবে- কাল দেবে বলে বারবার সময় নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য কালক্ষেপণ করলে, এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করে সালিশ দায়ের করি। সালিশে সাক্ষী প্রমাণে ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাওনার বিষয়টি সঠিক প্রতীয়মান হওয়ায় সালিশকারক আমাদের পাওনা টাকা ফেরত দিতে বললে; কিন্তু তারা সালিশকারকদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে টাকা ফেরত না দিয়ে বরং উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি শুরু করে। পরবর্তী সময়ে গত ৬ জুন পালংখালীতে আমরা ব্যবসায়িক কাজে গেলে তাদের দেখতে পেয়ে পুনরায় টাকা ফেরত চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী আচরণ দেখিয়ে টাকা ফেরত দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় এবং একপর্যায়ে আমাদের হামলা ও মারধর করতে উদ্যত হলে আমরা নিরাপদ দূরত্বে সরে এসে তাদের কবল থেকে প্রাণে রক্ষা পাই। যা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অবগত আছেন।