বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বীরগঞ্জে আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলায় বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি আমন মৌসুমে ২৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া জানান, দেশের খাদ্য উৎপাদিত জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরে এবারে কোনো ধরনের বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় বাম্পার আমন ধান ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। তিনি বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আগাম জাতের আমন ধান কর্তনের বিষয় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি আশ্বস্ত হয়েছেন এবারে ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের সরবরাহকৃত ধানকাটা ও মাড়াই মেশিন দিয়ে ধান কর্তন ও মাড়াইয়ের কাজ করতে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। অত্যাধুনিক মেশিনে জমির ক্ষেতেই ধানকাটা ও মাড়াই ওই মেশিন দ্বারা একই সঙ্গে সম্পন্ন হওয়ায় ধানের মান ভালো হচ্ছে। ওই ধান বাজারে চাহিদা বেশি রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি জানান, দেশের সিংহভাগ ধান উৎপাদন হয়ে থাকে বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে। ইরি বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বীরগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণ। এ বছর ২৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইরি বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো ও দাম মনোঃপুত হওয়ায়, চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা মনের আনন্দে আমন ধান চাষ করছন।

দিনাজপুর আঞ্চলিক কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শামীম জানান, চলতি আমন মৌসুমে ২৯ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হবে। কৃষকরা জানান, বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরিফুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় ইরি-বোরো চাষাবাদ ও ঠিকমতো কীটনাশক ব্যবহার করে ফলন বেশি পেয়েছি। তারা বলেন, এক দিকে ধানের ফলন ভালো হয়েছে, অপরদিকে ন্যায্য মূল্য পেয়েছি। এবার উৎপাদিত ধান উপজেলার চাহিদা পূরণ করে উপজেলার বাইরে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।