সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য বিকৃত করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। গত বছরের ১৬ আগস্ট এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন। এখন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে আদালত। প্রকাশিত রায়ে হাইকোর্ট তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিষয়টি নিয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েল। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ীর প্রত্নতত্ত্বের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পুরাকীর্তি সংরক্ষণ বিধি অমান্য করে ভবন নির্মাণ করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ১৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান পূর্ণাঙ্গ রায়ে তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে, এক. প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃতি করে এমন কোনো ভবন/স্থাপনা আছে কি না তা তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
দুই. তদন্তে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃতি করে এমন কোনো ভবন/স্থাপনা যদি পাওয়া যায় তাহলে সেসব ভবন/স্থাপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
তিন. রবীন্দ্র কাছারিবাড়ীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও পবিত্রতা রক্ষার্থে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিকটস্থ জমি ও ভবন-এর ব্যাপারে যথাযথ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে গ্রহণ করতে পারবে। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন- রবীন্দ্র কাছারিবাড়ীর ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এবং অভিযোগ আছে এর সৌন্দর্য বিকৃত করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।