গত ১০ বছরে দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে ৭৭ হাজার ২০৩ জন। দেশে এখন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭ জন। যা ২০১৩ সালে ছিল ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৪ জন। তবে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। গতকাল বুধবার পরিসংখ্যান ভবনে জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ এর তথ্য প্রকাশ করা হয়। জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহসান ই এলাহি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টমো পাউটিয়াইনেন। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ব্যুরো মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মতিয়ার রহমান। জরিপের তথ্য বলছে, শিশু শ্রমিকে সংখ্যা বাড়লেও কমেছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৩ সালে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত ছিল ১২ লাখ ৮০ হাজার ১৯৫ শিশু। ২০২২ সালের জরিপে তা কমে হয়েছে ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২১২ জন শিশু। সে হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিকের অংশগ্রহণ ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মেয়ে শিশুর তুলনায় ছেলে শিশুদের অংশগ্রহণ বেশি। তবে একই সময়ে বেড়েছে ঝুঁকিমুক্ত কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ। ২০১৩ সালে ঝুঁকিমুক্ত কাজে নিয়োজিত ছিল চার লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন শিশু। যা ২০২২ সালে প্রায় তিন লাখ বেড়ে হয়েছে সাত লাখ সাত হাজার ৮৮৫ জনে। জরিপে দেখা যায়, সামগ্রিক শিশু শ্রমিকের হার ২০১৩ সালের ৪ দশমিক তিন থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক চার শতাংশ।