সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলাকালে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে দুই পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এ পরীক্ষা হলে সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে নিরাপত্তাকর্মী পদপ্রার্থী আসলাম বিষপানে ও আয়া পদপ্রার্থী ফাতেমা খাতুন গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আসলামকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাতেমাকে উদ্ধার করে। এর আগে ২৬ জুন উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার, নিরাপত্তাকর্র্মী ও আয়া পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। পরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদটি বাতিল করে পত্রিকায় সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এ তিনটি পদে ১৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন বলেন, নিয়োগের কথা বলে ২০২০ সালে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন চাকরি না দেয়ার পাঁয়তারা করছে। এ টাকা দেয়ায় সাংসারিক জীবনে বিচ্ছিন্নভাবে জীবনযাপন করছি। কোনো উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে বলেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু দুজন প্রার্থী আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পরিবেশ নষ্ট করায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই প্রার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা জেনেছি। তবে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
