ভাঙনরোধে কাজ করছে পাউবো
সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে ভয়াবহ ভাঙনে জমিসহ বাড়িঘর যমুনার গর্ভে বিলীন
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি, খেয়াঘাট, গাছপালা ও ফসলিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙন নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পায় এবং ভাঙনও শুরু হয়েছে। তবে বর্তমানে যমুনার পানি সামান্য করে কমলেও ভাঙন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম থেকে ওই উপজেলার চরাঞ্চলের তেকানি, খাসরাজবাড়ি ও নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি ও হাড্ডির খেয়াঘাটসহ অনেক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন হুমকির মুখে। এরই মধ্যে খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখ থেকে অনত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তেকানী ইউনিয়নের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং এ ভাঙন এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে এবং এখন আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে যমুনা নদী বয়ে গেছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পূর্বপাড় চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়ন রয়েছে। তীব্র স্রোত ও পানি প্রবাহের কারণে প্রতি বছরই চরাঞ্চলে এ ভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারেও ভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়া শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও এনায়েতপুরের অনেক স্থানে ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় ভাঙন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদরের একাংশ) আসনের এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের প্রচেষ্টায় চরাঞ্চলে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে প্রায় ১২৩০ মিটার পাকারাস্তা নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে বেশিরভাগ রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তিনি চরাঞ্চল মানুষের সবসময় খোঁজখবর নেন এবং ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেন। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, চরাঞ্চলের ভাঙন বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে ইতিমধ্যেই তেকানী ইউনিয়নের ভাঙনরোধে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।