প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশের একটি বাংলাদেশ। মন্ত্রী গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজে নির্মাণাধীন মুজিব কেল্লা পরিদর্শন কালে এ মন্তব্য করেন। এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণীর জীবনসহ মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী নিরাপদে সংরক্ষণে সরকার দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মাণ করছেন ‘মুজিব কেল্লা’। তিনি জানান, সম্প্রতি এসব কেল্লা সংস্কারের সঙ্গে ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কেল্লা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। নতুন মুজিব কেল্লাগুলো আধুনিক ও উন্নতমানের করা হয়েছে। যেখানে শুধু দুর্যোগের সময়েই নয়, অন্যান্য স্বাভাবিক সময়েও এসব কেল্লা ব্যবহার করা যাবে। বন্যা স্তর থেকে সাড়ে ৮ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি আধুনিক মানসম্মত মুজিব কেল্লা। দেশের অসংখ্য স্থানে সাইক্লোন সেন্টার থাকলেও মুজিব কেল্লার বৈশিষ্ট্য হলো- এটি উঁচু ঢিবিতে নির্মিত। নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ার ফলে এখন পানি আগের থেকে অনেক বেশি উপরে উঠে আসছে। তাই এই কেল্লা খুবই উপযোগী হবে। মানুষ এখানে নিজেদের গবাদিপশুসহ অবস্থান করতে পারবে। আর এটি উঁচুতে হওয়ায় পানি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জয়নাল আবেদিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসি কান্ত হাজং, গোয়াইঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজদ, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অখিল বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াকুব আলী, দক্ষিন রনিখাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ, সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান রোকন, ৩নং তেলিখাল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কমর উদ্দিন চৌধুরী, ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য তামান্না আক্তার হেনা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন আক্তারসহ স্থানীয় বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের নভেম্বরে দেশে হওয়া এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য মানুষ এবং গবাদিপশুর মৃত্যু হয়। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সেসব উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সেসব এলাকায় মানুষ এবং পশুপ্রাণীদের বাঁচাতে উঁচু মাটির ঢিবি বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। যা পরবর্তীতে মুজিব কেল্লা নামে পরিচিতি পায়।