এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) রামপুরা থেকে রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের চার লেন, সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের জন্য লেনদেন উপদেষ্টা হিসেবে ২৬১ মিলিয়ন ডলার বেসরকারি খাতের মূলধন সংগ্রহ করেছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পটি যানজট নিরসন করবে এবং রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ স্থাপন করবে।
বাংলাদেশে অবস্থিত একটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, ব্যাংক অব চায়না, ডিবিএস ব্যাংক লিমিটেড এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড থেকে সর্বাধিক ১৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণের মাধ্যমে প্রকল্পটির অর্থায়ন করা হচ্ছে। দাতারা অবশিষ্ট ৬৮ মিলিয়ন ইক্যুইটি বিনিয়োগ হিসাবে প্রদান করেছে। গতকাল এডিবি এ কথা জানিয়েছে। এডিবি প্রকল্পের কাঠামো, আলোচনা, দরপত্রে সহায়তা করেছে এবং বাণিজ্যিক ও আর্থিক সুবিধা প্রদানে সহায়তা করেছে।
এডিবির মার্কেটস ডেভেলপমেন্ট এবং পিপিপি অফিসের প্রধান ক্লিও কাওয়াওয়াকি বলেন, ‘আমরা এই এক্সপ্রেসওয়ের নকশা, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি খাতের অংশীদারদের প্রস্তুত, বাজারজাতকরণ এবং আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিলেট এবং বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করবে এবং যাত্রীদের দ্রুত তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর সুবিধা প্রদান করবে।’
কাওয়াওয়াকি বলেছেন, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা পিপিপি প্রকল্পটি মার্কিন ডলার এবং রুপির বিনিময় হারের সঙ্গে আংশিক রাজস্ব যুক্ত একটি প্রাপ্যতা প্রদানের ব্যবস্থার অধীনে বিতরণ করা হয়েছিল। যেখানে ঢাকা বাইপাস রোড পিপিপির প্রথম সড়ক লেনদেনের জন্য ন্যূনতম রাজস্ব গ্যারান্টি হিসেবে ৩৭০ মিলিয়ন নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এডিবি তাই অবকাঠামো খাতে ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে উভয় ধরনের পেমেন্ট মেকানিজমের পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করেছে।’
চুক্তিটি বিনিয়োগের জন্য একটি সম্পদ শ্রেণি হিসেবে রাস্তা পিপিপি বিকাশে এডিবি কর্তৃক গৃহীত একটি প্রোগ্রাম্যাটিক পদ্ধতির অংশ। বাংলাদেশে লেনদেন উপদেষ্টা হিসেবে এডিবি’র সঙ্গে পিপিপি লেনদেনের এটি দ্বিতীয় সফল আর্থিক সমাপ্তি।
এডিবি বর্তমানে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে, যা ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে সংযোগ উন্নত করবে। রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ের নকশা, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে ২৫ বছরের মধ্যে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে।