পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করে এক তরুণী। গতকাল সকাল থেকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড়ডালিমা গ্রামে প্রেমিক তুহিন গোলদারের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন তিনি। প্রেমিক তুহিন ওই গ্রামের মো. ইদ্রিস গোলদারের ছেলে। অনশনে বসা তরুণী উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের বশার গাজীর মেয়ে। সে উপজেলার কালিশুরী নিউ লাইফ কেয়ারের স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত। প্রেমিক তুহিন পৌর শহরের ডিজিটাল ডায়াগনস্টিকের পরিচালক। ঘটনার পর প্রেমিক তুহিন ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন।
ওই তরুণী জানায়, এক বছর আগের তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর কর্মস্থলে রাত্রিযাপন করতেন দুজন। এমনকি প্রেমিক তুহিনের বাড়িতেও নিয়ে আসতেন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে প্রেমিক। প্রেমিক তুহিন ডায়াগনস্টিক ব্যবসা শুরু করতে তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে (তরুণী) প্রেমিক তুহিন তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। মিলিত হন শারীরিক সম্পর্কে। এ বিষয়টি তুহিনের পরিবারের লোকজনের চোখে পড়লে ভোল্ট পাল্টে ফেলে তুহিন। মারধর করে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তুহিন।