ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জলাবদ্ধতা নিরসনে তৎপর ফেনী পৌরসভা

জলাবদ্ধতা নিরসনে তৎপর ফেনী পৌরসভা

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ফেনী পৌর এলাকায় কোথাও যেন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যার কারণে শহরে কোথাও পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। পৌরসূত্রে জানা যায়, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর নির্দেশে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বৃষ্টির কারণে কোথাও যেন জলাবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাঠে কাজ করছে। পৌরসভার কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর সরোয়ার জাহান ও কঞ্জারভেন্সি সুপারভাইজার নুর ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে কাজ করছেন। কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর সরোয়ার জাহান জানান, পৌরসভার মেয়র স্বপন মিয়াজী স্যারের নির্দেশে আমরা পৌর এলাকার পাগলিছড়া-খাল, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের দুই পাশের ড্রেন, স্টেশন রোড়, স্টেডিয়াম রোড়, আবু বক্কর সড়কের, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ বাড়ি, সওদাগর বাড়ি ও তাকিয়ে রোডের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া ঝড় ও বৃষ্টির কারণে সার্কিট হাউজ রোডের মুখে একটি আম গাছ পড়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক আমরা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গিয়ে গাছটি কেটে রাস্তা থেকে সরিয়ে পথচারী ও যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়া হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত আমরা পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি আধুনিক সুন্দর পৌরসভা তৈরির জন্য পৌরসভার মেয়রকে সহযোগিতা করছি। স্টেশন রোডের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও মানিক মল্লিক জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর স্টেশন রোডের জলাবদ্ধতা হয়নি। অতীতে একটু বৃষ্টি হলে স্টেশন রোডে হাঁটু পরিমাণ পানি জমত। দোকানের জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু গত কয়েকদিন বেশ ভালো বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু স্টেশন রোডে পানি জমেনি। আমরা অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সুন্দরভাবে ব্যবসা করছি। শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের ব্যবসায়ী নুর আহমদ, জাহাঙ্গীর, স্বপন জানায়, একটু বৃষ্টি হলে পুরো রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যেত। এ বছর রাস্তায় কোনো পানি নেই। সুন্দরভাবে মানুষ যাতায়াত করতে পারছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠে সার্বক্ষণিক তৎপর থাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, শহরে যেন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়। সেজন্যই আমরা আগাম খাল ও ড্রেন পরিষ্কার-পরিছন্নতা করেছি। বিশেষ করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো খনন করে পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেজন্যই পৌর এলাকার মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। গত কয়েকদিন যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে খালগুলোতে যদি আগাম পরিষ্কার করা না হতো তাহলে শহরের জলাবদ্ধতা অন্যান্য বছরের মতোই থাকত। কিন্তু আমরা আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করার কারণে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও পৌরবাসী যদি সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আমরা আরো বেশি সফল হব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত