ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি

বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি

নৌদুর্ঘটনা এড়াতে বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

এজন্য সারা দেশে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল সোমবার সংবাদ মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে’র পাঠানো এক বিবৃতিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রতি এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাল্কহেডের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত নৌদুর্ঘটনা ও যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বরাত দিয়ে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ১৫ হাজার হলেও সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৮৫ হাজার নৌযান রয়েছে। এই ৭০ হাজার অবৈধ নৌযানের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার রয়েছে বাল্কহেড।

নিবন্ধিত ১৫ হাজার নৌযানের মধ্যে নিয়মিত বার্ষিক সার্ভে (ফিটনেস পরীক্ষা) করা হয় মাত্র আট হাজারের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে অবশিষ্ট সাত হাজার ত্রুটিপূর্ণ নৌযান অবাধে চলাচল করছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলোর বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে।

অবৈধ ও আইন অমান্যকারী নৌযান চলাচলের সুযোগ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিককেও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কমিটি। গত শনিবার রাতে মুন্সীগঞ্জে পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে আটজন এবং ১৭ জুলাই রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে তৈলপট্টিঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাস ডুবে তিন যাত্রী নিহত হয়। বিবৃতিতে সনদবিহীন চালককে (মাস্টার ও ড্রাইভার) শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি অবৈধ চালক নিয়োগ দেওয়ায় নৌযান মালিককেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত