বঙ্গমাতা একটি আদর্শের নাম : শেখ কবির
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব একটি অনুপ্রেরণার নাম। দুঃসময়ের কাণ্ডারী। রাজনীতি, সংসার সর্বক্ষেত্রেই মমতাময়ী, মহীয়সী এই নারীর অবদান অনেক উর্ধ্বে। বঙ্গমাতার চরিত্র ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব গভর্নরস এবং অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শকে লালন করেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন সম্ভব। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তিনিই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। নেপথ্যে থেকে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা, নেতৃত্ব ও সাহস জুগিয়েছিলেন। এমনকি, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের দিন সকালে বঙ্গমাতার প্রেরণা, শক্তি ও মতামতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বাউবির বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল বাউবির গাজীপুরস্থ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও গানে কবিতায় শ্রদ্ধার আয়োজন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে নয়, একজন নীরব সংগঠক হিসেবে বঙ্গমাতা নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে। বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা একে অপরের পরিপূরক ছিলেন। জাগরণী ক্ষমতা আর সঞ্জীবনী শক্তি দিয়ে আন্দোলিত করেছিলেন কর্মীদের।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাউবির প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু ও ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল। অধ্যাপক ড. কেএম রেজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাউবির রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শহীদুর রহমান ও টুম্পা রানী দে সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. রকীব আহাম্মেদ, ট্রেজারার ড. মঞ্জুর-ই-খোদা তরফদার, রেজিস্টার ড. মশিউর রহমান, বাউবির বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ ছাত্রী হলে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বৃক্ষরোপণ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিচারণ করে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, দেশ ও জাতির জন্য বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অপরিসীম ত্যাগ, সাহস, সংগ্রাম ও অবদানের জন্য বাঙালি জাতি অত্যন্ত গর্বিত এবং কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও জাতীয় ইতিহাসের সব পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু এবং দলীয় নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা, শক্তি, সাহস, মনোবল ও সঠিক পরামর্শের উৎস হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গমাতা বেগম মুজিব। বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মুর্শিদা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রক্টর ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।