কক্সবাজারে জুলাই মাসের কার্যসম্পাদনে চকরিয়ার হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিরস্ত্র) মহসিন চৌধুরী জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার কক্সবাজার জেলায় শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কর্তৃক আয়োজিত জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জুলাই মাসে ১১টি সাজা তামিল ও ২৫টি ওয়ারেন্ট তামিল/নিষ্পত্তিসহ সামগ্রিক মূল্যায়নে তিনি নির্বাচিত হন। জানা যায়, এসআই মহসিন চৌধুরী হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকেই আইসি কাইসার হামিদের নির্দেশে বিট পুলিশিং কার্যক্রম, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার, এলাকার মাদক, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, অবৈধ জমি দখলসহ বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হলেন এই সাহসী অফিসার মহসিন চৌধুরী। এ বিষয়ে মহসিন চৌধুরীর কাছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মহান আল্লাহতায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, আমি এ সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত। এ পুরস্কার আমার মা-বাবার কাছে উৎসর্গ করছি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কারে আমার স্পৃহা আরো বাড়বে। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করতে এবং আমি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করি না। অন্যায়কারীকে আমি কখনো ছাড় দেই না। আমাকে পুরস্কৃত করার জন্য পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন), অতিঃপুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসিসহ সবার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, সবার ভালোবাসা নিয়ে নবউদ্যমে আরো ভালো কাজ করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে দোয়া এবং আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নিরস্ত্র) মহসিন চৌধুরী একজন দক্ষ ও অত্যন্ত পরিশ্রমী অফিসার। আগামীতে সে আরো ভালো করবে। আমি তার সফলতা কামনা করছি। উল্লেখ্য, গত জুন মাসে উখিয়া থানায় থাকাকালীন তিনি জুন মাসে ১২টি সাজা ও অন্যান্য ওয়ারেন্টসহ ২৫টি পরোয়ানা তামিল নিষ্পত্তিসহ সামগ্রিক মূল্যায়নে জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছিলেন।
