চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র মাদকবিরোধী নিয়মিত অভিযানে ২২ কেজি গাঁজা ও মাদকবহনকারী একটি মাইক্রোবাসসহ তিন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর মডেল থানাধীন শাহ মাহমুদপুর ইউপির ঘোষেরহাট এলাকার সীমা পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের ওপর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মহসিন (৩০), মো. হাবিবুর রহমান (২৫) ও আরিফুল ইসলাম ওরপে সজল (৩০)। তাদের হেফাজত থেকে ২২ কেজি গাঁজা, একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের তত্ত্বাবধানে উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান কায়কোবাদের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস দল মাদক অভিযান পরিচালনা করেন। ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক বিক্রেতারা জানায়, তারা দীর্ঘ দিন ধরে কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে গাঁজা সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। তারা কুমিল্লা জেলা থেকে ২২ কেজি গাঁজা ক্রয় করে মাইক্রোবাসে কুমিল্লা চাঁদপুর হয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে পুলিশের চেকপোস্টে থামিয়ে তল্লাশি করার সময় তাদের দেখানো মতে গাড়ির সিটের ওপর ১ ও ২ নম্বর আসামির মাঝে রাখা দুইটি কার্টুন, একটি কার্টুনে ১০ কেজি ও অপর কার্টুনে ১২ কেজি গাঁজাসহ সর্বমোট ২২ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। একই সাথে একটি সাদা রঙের হাইস গাড়ি, যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-চণ্ড১৯-১৩২৪, ইঞ্জিন নং-১ ঞজ-৮৩২৭০৩৪, চেসিস নং-ঞজঐ২০০-০১৩২২৫৫, মূল্য অনুমান ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। মাদক বিক্রেতারা আরো জানায়, কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অজ্ঞাতনামা আসামির নিকট হতে গাঁজা ক্রয় করে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের জনৈক ওমর ফারুক (৩৫) নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য মাইক্রোবাসযোগে যাচ্ছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা ও সহযোগী পলাতক আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে এ মাদক নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের নিকট অবৈধভাবে বিক্রয় করার পরিকল্পনা ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরেুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৩৬ (১) সারণির ১৯ (গ)/৩৮/৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামির নামণ্ডঠিকানা যাচাই-বাছাইসহ শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক বিক্রেতা যেই হোক না কেন, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।