সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরের সোনাপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন কক্সবাজারের রামুর যুবক মাইমুনুর রশিদ। দুবাই শহরের একটি বেসরকারি নির্মাণ কোম্পানির পিকআপ গাড়ির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। গত শুক্রবার মাইমুনুর রশিদ রাতের ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন, এরই মধ্যে সোনাপুর এলাকায় এলে তাদের গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি কাভার্ভ ভ্যান। এতে মাইমুনসহ দুইজন নিহত হন। তাদের পিকআপ চালকও গুরুতর আহত হন।
নিহত মাইমুনুর রশিদ কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ভুতপাড়া হাইটুপি এলাকার সফর আলী বাবুর্চির ছেলে। অন্যজন উখিয়া উপজেলার ইনানীর আকতার কামাল বলে জানা যায়। নিহত আকতার কামালের চারটি সন্তান রয়েছে। নিহত মামুনুর রশিদের পিতা সফর আলী বাবুর্চি জানান, ৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড় ছেলে মাইমুনুর রশিদ। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে দেড় বছর আগে জীবিকার তাগিদে মাইমুনুর রশিদ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। সেই থেকে পরিবারের অবস্থা ভালোই চলছিল। কিন্তু আকস্মিক এ দুর্ঘটনায় পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতম। মামুন রশিদের বোন জামাই জানান, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে বিদেশে গিয়েছিল। তার অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবার নিয়ে। হঠাৎ তার এ মৃত্যু আমরা সহজে মেনে নিতে পারছি না। এদিকে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান, প্রবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং কষ্টদায়ক, আমরা উপজেলা প্রশাসন রামুর পক্ষ থেকে তার মরদেহ দেশে আনার জন্য তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
