ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, এবারে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জানাতে অন্য বারের তুলনায় বেশি লোকের সমাগম হবে। এ জন্য শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করে প্রবেশ করানো হবে।
গতকাল সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তাব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই জাতীয় শোক দিবসে নি- িদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবাইকে ব্যাগ কিংবা বাক্স নিয়ে না আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। এবার বেশি মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলন, আশপাশের প্রতিটি জায়গা নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে রয়েছে। কয়েক দিন ধরে আশপাশে যত মেস-হোটেল রয়েছে প্রতিদিন রাতে প্রতিটিতে একাধিকবার আমরা নিরাপত্তার জন্য তল্লাশি করি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যাওয়ার পর মূলত আমরা এখানে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেব। এজন্য দুই ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন, তাদের অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ব্যাগ, চাকু কিংবা অন্য কোনো কিছু নিয়ে আসবেন না। প্রত্যেকটি লোককে আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে চেকিং করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। গেটে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে, তা দিয়ে চেক করা হবে। তিনি আরো বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, মেস, হোটেল ও আবাসিক এলাকায় চেক করা হচ্ছে। কোনো সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারী আশ্রয়-প্রশ্রয় নিয়েছে কি না। নির্বাচনের বছরে কেউ যাতে কোনো নাশকতার মাধ্যমে সরকারকে-পুলিশকে বিব্রত করতে না পারে।
সাইবার ওয়ার্ল্ডে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, সিটিটিসি ও ডিবির সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে- কোনো হুমকি আছে কি না। সার্বিকভাবে আমরা যে নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজিয়েছি, আশা করছি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের মানুষ যারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন, তারা নিরাপত্তার সাথে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। ১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট জঙ্গি হামলার তথ্য নেই। তবুও আমরা মনিটরিং করছি, আমরা সতর্ক রয়েছি। গত পরশুদিন দেখলাম ‘ইমাম মাহাদীর কাফেলা’ নামক নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন। সিলেট থেকে এই জঙ্গি সংগঠনের ১০ জনকে সিটিটিসি গ্রেপ্তার করেছে। ১৫ আগস্ট ঘিরে সাইবার হামলার হুমকি এসেছে। ডিএমপির কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। এবারের চ্যালেঞ্জটা লোক সমাগম অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হবে। লোক সমাগম ম্যানেজ করা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। ২০ থেকে ৩০ শতাংশ লোক এবার বেশি হবে। এছাড়া অন্য কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।