জাহাজ ভাঙা শিল্পকে পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাহাজ ভাঙা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। তিনি গতকাল রাজধানীর পরিবেশ অধিদপ্তরে জাহাজ ভাঙা শিল্পের পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্প্রতি হংকং কনভেনশন র‌্যাটিফিকেশন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে তুলতে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন, ২০১৮, বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বিধি, ২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে চারটি শিপইয়ার্ড গ্রিন শিপইয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। আরো এক ডজনের বেশি শিপইয়ার্ড গ্রিন শিপইয়ার্ডে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাহাজ ভাঙা শিল্পের ব্যাপক অবদান থাকলেও পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও তাদের স্বাস্থ্যগত দিকের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। তিনি বলেন, পরিবেশগত ঝুঁকির দিকগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করার মাধ্যমে জাহাজ ভাঙা শিল্প যাতে বিকশিত হতে পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের। বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙার পরিবেশ ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (ইসিসি) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম, জাহাজ ভাঙার কার্যক্রমের বর্তমান অনুশীলন ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী।