ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারে বন্যা

পাঁচ দিনেও ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই

পাঁচ দিনেও ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায়। একই সঙ্গে অপর সাতটি উপজেলায়ও কম-বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।

বন্যা পরিস্থিতির উন্নত হয়ে ১৩ আগস্ট থেকে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরপর থেকে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন ভেসে উঠদে শুরু করে। যেখানে বন্যায় চিংড়ি ঘের, সড়ক, গ্রামীণ রাস্তা ও কালভার্টগুলোর বিধ্বস্ত হয়েছে।

পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। কিন্তু পাঁচ দিনেও বন্যার পূর্ণাঙ্গ ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে পারেনি প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক তথ্য মতে, বন্যায় সড়ক বিভাগের ৫৯ কিলোমিটার সড়ক এবং এলজিইডির ৮০ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা ও ৪৭টি ব্রিজ/কালভার্ট বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তা পানিতে ডুবে আছে। পানি নেমে গেলে আর্থিক মূল্য জানা যাবে।

জেলায় ১৫ হাজার ৬৩৮ হেক্টর ফসলি জমি, ১ হাজার ৭৫২টি পুকুর/ দীঘি/ খামার, ১ হাজার ৮৩২টি মৎস্য ঘের, ২৬২ মেট্রিক টন ফিন ফিশ, ৭০০ মেট্রিক টন চিংড়ি, ৯.৯৫ মেট্রিক টন পোনা ও ১৭৯টি জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে ক্ষতির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কাছাকাছি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের কাছে এখনো প্রাথমিক তথ্যটি রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনও হাতে আসেনি। এর জন্য জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা এ বিষয়ে কাজ করছেন। জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তিনি পাননি। আশা করছেন আগামী রোববারের মধ্যে তথ্য হাতে আসবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত