রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন (এমপি) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল লক্ষ্যই ছিল গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাই তিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। তিনি সুখী সমৃদ্ধ আত্মনির্ভরশীল দেশ গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খুনিরা তাকে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার ১৪ বছরে আজ পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ অন্যতম একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে এখন দেশ। মানুষ ঘরে বসেই সেবা গ্রহণ করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্কে মুক্তমঞ্চে জেলা কৃষকলীগের আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়ে আজ চা শিল্পে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। এ চা শিল্প আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষ শুরু হয়। যা এখন উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় চা চাষের বিস্তার হয়েছে এবং কি চা চাষিদের সুবিধার জন্য পঞ্চগড়ে চায়ের তৃতীয় নিলাম কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি ও আমি নিজেই উপস্থিত থেকে এই চায়ের নিলাম কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন. যুগ যুগ ধরে এ দেশে অসাম্প্রদায়িক ভাবনা নিয়ে বসবাস করে আসছি। বিএনপি ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তাই এদের প্রতি সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমেরিকা আজ মানবাধিকারের কথা শোনান, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের পক্ষ নিয়েছিলেন তারা।
পঞ্চগড় জেলা কৃষকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট. কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি আবু তোয়বুর রহমান ও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আকতারুনাহার সাকি, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।