আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকচক্র এখনো সক্রিয়। তিনি বলেন, ‘দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নির্দেশদাতারা এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শহীদ বেগম আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ আইভি রহমানকে কর্মীবান্ধব ও গণমানুষের নেতা উল্লেখ করে তার জীবনী থেকে আগামী প্রজন্মের নেতাকর্মীদের শিক্ষা গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কয়েকদিন আগে বলেছেন, এই সরকারকে ফেলতে হলে সুনামি তৈরি করতে হবে। আর তরুণ সমাবেশে তরুণদের না পেয়ে তিনি হতাশ হয়েছেন। তাই আমি ফখরুল সাহেবকে বলব, আপনাদের হতাশা কেবল তো শুরু। অপেক্ষা করেন সামনে আরও বড় বড় হতাশা আসবে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সেদিনের গ্রেনেড হামলা ছিল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এই সন্ত্রাস করা হয়েছিল হাওয়া ভবন ও তারেক রহমানের নির্দেশে। আর বিএনপি’র মহাসচিব কত বড় মিথ্যা কথা বলে যে, ২১ আগস্ট ছিল একটি সাজানো নাটক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল, সেদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসাতে ও অমানবিকভাবে সেদিন বাধা দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
বেগম আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আয়েজিত সভায় কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব শাহজাহান আলম সাজু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বেগম আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সদস্য সচিব লায়ন মশিউর আহমেদ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন মুহাম্মাদ রোকনউদ্দিন পাঠান।
বক্তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে উচ্চ আদালতের বিচারিক রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান।