প্রবাসী রোহিঙ্গাদের অর্থায়নে চলে আরসার কিলিং মিশনসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, উখিয়া (কক্সবাজার)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রেরিত অর্থে অস্ত্র কেনা, সন্ত্রাসী ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (আরসা)। হুন্ডি এবং বিকাশের মাধ্যমে আসা এই অর্থ ব্যবহৃত হয় কিলিং মিশনসহ অপরাধে জড়িতদের রিওয়ার্ড মানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমনটাই জানিয়েছেন র্যাবের সহকারী পরিচালক জামিরুল হক।
গতকাল শুক্রবার র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার তাজনিমার খোলা আরসার অর্থ সম্পাদক এবং ওলামা কাউনন্সিলের কমান্ডার মাওলানা মো. ইউনুসকে কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি বিদেশি অস্ত্রসহ ৬টি এমুনেশন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইউনুসের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যার সংক্রান্ত দুইটি, এপিবিএনের ওপর সশস্ত্র হামলা সংক্রান্ত দুটি মামলা এবং অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত একটি মামলাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকতা জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাওলানা মো. ইউনুস সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি আরসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা মনিটরিং এবং ব্যবস্থাপনা করে থাকেন পাশাপাশি তিনি ওলামা কাউন্সিল কমান্ডার। গ্রেপ্তারকৃত ইউনুসের সূত্রে জানান, রোহিঙ্গা কমিউনিটির যার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত প্রবাসীরা মূলত হুন্ডি এবং বিকাশের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করে থাকে। তাদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে আবুল বশর ও মৌলভী ইসমাইল এক লাখ টাকা করে এবং পারভেজ ১৫ হাজার টাকা, আমেরিকা থেকে জহুর আলম এক লাখ টাকা, মালয়েশিয়া থেকে হারুন এক লাখ টাকা, থাইল্যান্ড থেকে হারুন নামক এক রোহিঙ্গা ৬৫ হাজার টাকাসহ অসংখ্য রোহিঙ্গা আরসাকে অর্থায়ন করে থাকে। এ ছাড়াও ২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন (৩ মাসে) ১৩ লক্ষাধিক টাকা অনুদান হিসেবে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এইসব অর্থ অস্ত্র কেনা, সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও কিলিং মিশনসহ অপরাধে জড়িতদের রিওয়ার্ড মানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সংগঠনটির অস্ত্রের উৎসের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যে জানান, ২০১৬ সালে মায়ানমারের তারা সুখ নামক একটি থানা থেকে ৭০টি একে৪৭ লুট করে। আরসার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সদস্যগণ বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি করতে পারে।