ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চালের দাম বাড়লে দোষ, কমলেও দোষ

বললেন খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়লে দোষ, কমলেও দোষ

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম এক টাকা বাড়লে দোষ, কমলেও দোষ। তবে কৃষক যেন ধানের ন্যায্যমূল্য পায় এবং ভোক্তাও যেন সাশ্রয়ী দামে চাল কিনতে পারে, আমরা সেই চেষ্টায় করে যাচ্ছি। গতকাল শনিবার নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পাতাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে কলমুডাঙ্গা বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক সমাবেশ ও বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোবেসে আমাকে এমন একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন, যেখানে চালের দাম এক টাকা বাড়লে দোষ, কমলেও দোষ। তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। চালের দাম ঠিক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের চাল কেনার ক্ষমতা কম এমন ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার। আর যাদের চকচকে মুখ, অনেক টাকা ইনকাম করে, তারা বেশি দামের বাসমতি চাল কিনে খাবে। তাতে আমাদের কোনো যায় আসে না। আমরা মোটা কাপড় পড়ি, মোটা চালের ভাত খাই, সেইদিক দিয়ে চালের দাম ঠিক আছে। কৃষকও নায্যমূল্য পেয়ে শান্তিতে আছে। এক টাকা বৃদ্ধি হলেই সবাই চালের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখায়; কিন্তু কৃষকের কথা কেউ চিন্তা করে না। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিএনপির আমলে এক বিঘা জমিতে ধান হয়েছে ৮ থেকে ১০ মণ। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আল্লাহর রহমতে এক বিঘা জমিতে ৩০ মণও ধান হয়। শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহর রহমত আছে। মন্ত্রী বলেন, যেসব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, সেসব জিনিসপত্রের দাম সারা বিশ্বে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এক ইঞ্চি জমিও যাতে পড়ে না থাকে। সেই কথায় কৃষক আবাদ করে আমন ও বোরোতে বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন। আমরা জমিতে ফসল ফলাব, আমরাই খাব। বাইরের দেশ থেকে আমদানির প্রয়োজন হবে না। খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা যা কিছু করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ করেনি। তিনি দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল, ফোর লেন ও এইট লেনের রাস্তা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই আস্থা আমাদের রাখতে হবে। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নয়ন বলতে আমরা কি বুঝি? গ্রামে মানুষ এখন রাইস কুকারে ভাত রান্না করে, বেশিরভাগ বাড়িতে ফ্রিজ আছে। কেউ খালি পায়ে বা খালি গায়ে ঘুরে না, কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না, অনেক ক্ষেত্রেই সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ছবি আমরা দেখতে পাই। আর এটিই শেখ হাসিনার সোনার বাংলা। শোক সমাবেশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক ও আব্দুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান হোসেন, পাতারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত