মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় গত মধ্যরাত ১২টা থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধের আশঙ্কা কেটে গেল। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে আমাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। উচ্চ পর্যায় থেকে এ বৈঠকের আশ্বাসে আমরা আমাদের কর্মসূচি ১০ কর্মদিবস স্থগিত করেছি।
রেলওয়ের রানিং স্টাফরা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী হেডকোয়ার্টারে তাদের ৮ ঘণ্টার ডিউটি শেষে ১২ ঘণ্টা বিশ্রাম করার কথা। কিন্তু রেলওয়ের কর্মী সংকট থাকায় তারা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম করার পর আবার কাজে নেমে যান। রেলের কর্মীরা রেলের স্বার্থে কাজ করতে চান। কিন্তু রেলওয়ে তাদের স্বার্থের বিষয়ে আন্তরিক নয়। মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মঘট পালন করেছেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলসচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা। মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মঘট পালন করেছেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলসচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান না হওয়ায় ২৮ আগস্ট থেকে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। যদিও গতকাল সন্ধ্যায় তা স্থগিত করা হয়।