জাতীয় স্বার্থ ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে আন্তর্জাতিক হওয়া অগ্রহণযোগ্য : রবি ভিসি

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

জাতীয় স্বার্থ ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে আন্তর্জাতিক হওয়া অগ্রহণযোগ্য। নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ উন্নয়ন সূচকে অর্থনৈতিক উন্নতির পরিচায়ক হলেও তা আনন্দদায়ক নয়। তা শুধু অর্থ-বিত্তের নির্দেশক, সুখ সেখানে অনুপস্থিত। গত শনিবার বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছায়া জাতিসংঘের সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম এসব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তি ও যোগাযোগের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও বিশ্বায়নের প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রা, অভ্যাস, রুচি, পছন্দ, নিত্য অপরিহার্য গ্রহণ-বর্জনসহ ব্যবসায়, অর্থনীতি, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও অগ্রাধিকারেও বিশেষ পরিবর্তন লক্ষণীয়। ব্যবসায় ও বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, নতুন বাজার সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাপুটে অংশগ্রহণ নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রহণযোগ্য কৌশল। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বিশ্বায়নের এই অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ তারুণ্যের ওপরই নির্ভর করছে। তরুণদের নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীল আচরণ গড়তে পারে সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। প্রথাগত শিক্ষার বাইরে যৌথ সংগঠনমূলক কার্যক্রম তরুণদের সমকালীন হতে ও অপরিহার্য সক্ষমতা অর্জনে সহায়ক। ছায়া জাতিসংঘের সম্মেলন যুবসমাজের মাঝে কুটনীতির শিষ্টাচারসহ জাতিসংঘের মূল্যবোধ বিস্তারে খুবই কার্যকর। তবে এই ধারাটি সঠিকভাবে চর্চিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তিনি এ ধরনের যৌথ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান জানান। এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার, রাবি সহযোগী অধ্যাপক মো. ইমরান হোসেন, আল ইমরানসহ আরউইমুনার সংগঠক ও ছায়া সম্মেলনের প্রতিনিধিবর্গ। তিন দিনব্যাপী এ ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনটি ২৪ আগস্ট শুরু হয়ে। এ সম্মেলনে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।