ঢাবিতে নিকাব বিতর্ক

অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামানের বিচার দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঢাবি প্রতিনিধি

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ভাইবা বোর্ডে মুখ না খোলায় হিজাব-নিকাব পরিহিতা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। হিজাব পরিহিতা এক শিক্ষার্থীর ভাইভা না নিয়ে উল্টো ‘যারা পর্দা করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে বাসায় বসে পড়াশোনা করা উচিত’- এমন মন্তব্য করেন অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান। এ নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন। সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামানের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘শিক্ষকদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করার জন্য হিজাব ও নিকাব খোলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থী শনাক্তকরণের জন্য আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার কথা বলছি; এতে তারা ব্যর্থ। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনারা গরিব হন, অর্থের অভাবে বায়োমেট্রিক চালু করতে না পারেন, তাহলে আমরা যৌথভাবে অর্থ সংগ্রহ করে দিতে রাজি আছি। আর যদি এতে রাজি না হন, তাহলে মহিলা শিক্ষক অথবা মহিলা কর্মচারী দ্বারা নারী শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করুন। আমাদের বোনদের অযথা হয়রানি করা থেকে বিরত থাকুন।’

তাবাসসুম নামের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘যাদের আচরণে সব সময় আক্রমণ প্রকাশ পাওয়া যায়। এ কেমন বাবা? আমাদের বোনদের উগ্রবাদী ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। পড়াশোনা আমার অধিকার।

আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী কেএম ইমরান হোসেন বলেন, ‘আপনারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করুন। অন্যথায় আপনারা যদি তা না পারেন, আপনাদের যদি অর্থ সংকট থাকে তাহলে আমাদের বলেন; আমরা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছি, আমরা সবাই মিলে অর্থ সংগ্রহ করে দেব এবং উন্নত প্রযুক্তি এনে দিব যাতে; করে আমার বোনদের আর হেনস্থার শিকার হতে না হয়।’ ইয়াছিন আরাফাত নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করা এদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আমরা দেখতে পাই, যশোর বোর্ডে রাতেও পরীক্ষা নেয়া হয় শুধুমাত্র তাদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার জন্য। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মা-বোনদের ধর্ম পালন করতে গিয়ে উগ্রবাদী ট্যাগ পাইতে হয়।