কিংবদন্তি কৃষিবিজ্ঞানী, আধুনিক কৃষি গবেষণার পথিকৃৎ, কাজী পেয়ারার জনক হিসেবে খ্যাত, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা গতকাল বিকাল ৪টায় বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তিনি দুই ছেলে, এক মেয়ে, পাঁচজন নাতি-নাতনি ও অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে পাকিস্তান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করে ১৯৭৩ সালে ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা দেশের কৃষি গবেষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি কৃষি গবেষণার সংস্কার, উন্নয়ন ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তার হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি গবেষণার বুনিয়াদ রচিত হয়। প্রয়াত ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের শীর্ষ পদে দীর্ঘদিন নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি প্রখর মেধা, পেশাগত দক্ষতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলির অধিকারী ছিলেন। দেশের কৃষি গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে ‘ স্বাধীনতা পুরস্কারে’ ভূষিত হন। বরেণ্য এই কৃষিবিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। গতকাল এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, কাজী এম বদরুদ্দোজা এ দেশের কৃষি গবেষণার পথিকৃৎ। দেশের কৃষি গবেষণায়, গবেষণার সম্প্রসারণে ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের শক্তিশালী কাঠামো তৈরিতে তার অনন্য অবদান রয়েছে। কৃষি খাতে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।