ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকা-ভাঙ্গা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ৭ সেপ্টেম্বর

ঢাকা-ভাঙ্গা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ৭ সেপ্টেম্বর

পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সাত বগির একটি বিশেষ ট্রেন কমলাপুর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। পরে ভাঙ্গা থেকে ওই ট্রেন আবার কমলাপুর ফিরবে। পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাবতীয় প্রস্তুতির কথা জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন। গতকাল শুক্রবার সেই চিঠি সূত্রে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ঢাকা-ভাঙ্গা সেকশনের আগামী ৭ সেপ্টেম্বর টেস্ট রান করা হবে। সেই বহরের ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগিগুলো আগের দিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানো প্রয়োজন। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ভাঙ্গা-মাওয়া সেকশনে প্রথম ট্রেন চালানো হয়েছিল। সেই দিনই পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় একটি বিশেষ ট্রেন। যদিও সেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল বলা হয়নি। পুরো প্রকল্পের নির্মাণকাজ তিনভাবে করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ঢাকা-মাওয়া ৪০ কিলোমিটার, দ্বিতীয় ধাপে মাওয়া-ভাঙ্গা ৪২ কিলোমিটার এবং শেষে ভাঙ্গা-যশোর ৮৭ কিলোমিটার। ঢাকা-ভাঙ্গা পথে পুরো রেললাইন বসে গেছে। গত জুনে শেষ অংশে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময় রয়েছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। রেলওয়ে সূত্র বলছে, ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইন চালু হলে শুরুতে ঢাকা, মাওয়া, পদ্মা, শিবচর এবং ভাঙ্গা রেল স্টেশন চালু হতে পারে। শুরুতে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। এক মাস পর ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তখন ধাপে ধাপে বাকি স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। সব স্টেশনের নির্মাণকাজ এবং সিগন্যালিংয়ের কাজ শেষ হলে পুরোদমে ট্রেন চলবে। তখন ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের অর্থায়নের এই প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত