ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংসদ নির্বাচন

ভোটকেন্দ্র খসড়া তালিকার ওপর সাড়ে ৮০০ দাবি-আপত্তি

ভোটকেন্দ্র খসড়া তালিকার ওপর সাড়ে ৮০০ দাবি-আপত্তি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে করা ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকার ওপর সারা দেশে মোট ৮৫৯টি দাবি ও আপত্তি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি কর্মকর্তরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে সারা দেশে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়ায় ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র নির্ধারিত হয় এবার। ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এবার খসড়া তালিকা প্রণয়নের সময় ডিসি-এসপি ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করা হয়। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, আমরা ভোটকেন্দ্র করার সময় অভিযোগ পাই। একজন কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া থাকলে অনেকেই সেখানে প্রভাব বিস্তাব করে। তারা চাপের মুখে থাকেন। বাস্তবতা হলো এ চাপ অতিক্রম করা কঠিন হয়। চাপ এড়াতে প্রশাসন, পুলিশ ও শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও যুক্ত করে কমিটি করা হয়েছে। তারা তালিকা করার পর অভিযোগ আসলে তা শুনানির পর চূড়ান্ত হবে। ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানান, দাবি-আপত্তি দেওয়ার নির্ধারিত সময়ে ৮৫৯ দাবি আপত্তি জমা হয়। ইসির ১০ আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দাবি আপত্তি জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চলে, ১৯৮টি। আর সবচেয়ে কম দাবি-আপত্তি এসেছে সিলেট অঞ্চলে, ৪৫টি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১২৪টি, ঢাকা অঞ্চলে ১১৫টি, রংপুর অঞ্চলে ৭৬টি, রাজশাহী অঞ্চলে ৭৬টি, খুলনা অঞ্চলে ৬২টি, বরিশাল অঞ্চলে ৬২টি, ফরিদপুর অঞ্চলে ৪৭টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫৪টি দাবি-আপত্তি জমা পড়েছে। প্রকাশিত খসড়ার উপর দাবি-আপত্তির নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ অগাস্ট; দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। মাঠপর্যায়ের কমিটিকে নীতিমালা অনুসরণ করে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করে তা ইসি সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর আইনবিধি অনুযায়ী ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কোনো ভোট কেন্দ্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অধীনে বা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তা সরেজমিন যাচাই করে রিটার্নিং কর্মকর্তা জরুরিভিত্তিতে কমিশনকে জানাবেন। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত