অপহরণের শিকার সিপিজির তিন সদস্য
‘মুঠোফোনে মায়ের কানে ছেলের নির্যাতনের চিৎকার’
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার
পুলিশ, বনবিভাগসহ স্থানীয় জনতার সাড়াশি ‘ব্লক রেইডে’ তিন দিনেও নিখোঁজ বনবিভাগের সিপিজি দলের তিন সদস্যদের সন্ত্রাসী চক্রের জিন্মিদশা থেকে উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় অপহৃত পরিবারসহ পুরো টেকনাফজুড়ে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অপহৃত মো. শাকেরের বড় ভাই মো. আয়ুব দাবি করেন, অপহরণকারী চক্রটি তার মায়ের মুঠোফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে এবং বার বার নির্যাতনে ‘ভয়ংকর’ শব্দ শুনাচ্ছেন। টাকা দিতে না পারলে তাদের মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। আয়ুব আরো দাবি করেন, গত শনিবার সকালে মায়ের মুঠোফোনে দুর্বৃত্তরা জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। গতকাল রোববার সকালে তা কমিয়ে সর্বশেষ আবারো ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। গরিব পরিবার হওয়ায় এত টাকা জোগাড় করা তাদের পক্ষে অসম্ভব বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় পুরো এলাকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন ও আতংকের মধ্যে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে গতকাল রোববার দুপুরে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম জানান, অপহৃত তিনজনই সিপিজি দলের সদস্য। তাদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ, বনবিভাগসহ স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুবাইর সৈয়দ জানান, পুরো পাহাড়জুড়ে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী মেম্বার জানান, সিপিজির তিন সদস্য অপহরণের ঘটনার পর থেকেই পাহাড়ে তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছি। দুই দিন অতিক্রম হলেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বন পাহারাদার অপহরণের শিকারের সাধারণ মানুষ অপহরণ আতঙ্কে আছি। টেকনাফের এ অংশে দিনের পর দিন অপহরণের ঘটনা বাড়ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে ন্যাচার পার্কের বন পাহারা দিতে গিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় বাসিন্দা ও সিপিজি বন পাহারা দলের সদস্য আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ শাকের (২৪), মৃত আবদুল শুক্কুরের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৭) ও মৃত বকসু মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৩২)।