ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী

ইসলামী চিন্তাধারা ও সংস্কৃতির বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছে সুফিজম

ইসলামী চিন্তাধারা ও সংস্কৃতির বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছে সুফিজম

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সুফিবাদ ইসলামের মধ্যে একটি রহস্যময় ঐতিহ্য যা আত্মসচেতনতার একটি পথ। সুফিবাদ ইসলামী চিন্তাধারা ও সংস্কৃতির বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং এটি সারা বিশ্বের মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে চলেছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সুফিবাদের সমাজ বিজ্ঞান, পূর্ণ-মানবতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির ঐশী অন্বেষণ’ শীর্ষক ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সুফিরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের অস্তিত্বের উদ্দেশ্য হলো সম্প্রীতির বিশ্ব তৈরি করা। তারা বিশ্বাস করে যে এটি সহানুভূতি এবং বোঝার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ অধ্যাপক ড. অমিত দে। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউট সুফিজমকে একাডেমিক বিষয়ে পরিণত করেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুফিবাদের একটি দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এটি দেশের সংস্কৃতি ও সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সুফিবাদ অনেক বাংলাদেশি চিন্তাবিদ ও লেখকের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস।

মূল প্রবন্ধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আশুতোষ প্রফেসর ড. অমিত দে বলেন, উপমহাদেশের সুফীরা ধর্মীয় আচার পালনের মধ্য দিয়ে তরিকতের প্রচার করেছেন। সুফীরা সংস্কৃতির নানা বিষয়ের সঙ্গে ধর্মীয় আচারের মেলবন্ধন তৈরি করে মানুষকে হেদায়তের জন্য সৃষ্টিকর্তার পথ দেখিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত