রাজধানীর কদমতলী থানার ধনিয়া পলাশপুরের একটি বাসায় নাজমুন্নাহার সাথী (২৬) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ভাই আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে জানতে পারি আমার বোন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে। পরে আমার বোনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি খাটের ওপর তার দুই পা হাঁটু দিয়ে বসা ছিল। আমাদের বিশ্বাস হয় না, আমার বোন ফাঁসি দিয়েছে। আমরা এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই। আমার বোনের স্বামীর শনির আখড়ায় ওষুধের ফার্মাসির ব্যবসা রয়েছে। সাথীর গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামে। তিনি মৃত ওয়াহেদ আলীর মেয়ে। বর্তমানে কদমতলীর পলাশপুর ২নং গলিতে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুন নাহার বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা তার মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি।