খাদ্য নিরাপত্তায় একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিএসএমএমইউ উপাচার্যের নিজ কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরাসরি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ না খেলেও আমাদের শরীর অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসট্যান্স হয়ে উঠছে। কারণ আমরা গরুর মাংসসহ অন্যান্য যেসব খাবার খাই তার মাধ্যমে এটি হয়ে থাকে। গরুকে অ্যান্টিবায়োটিক, স্টোরয়েড খাওয়ানো হয়। এসব গরুর মাংসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া মাছের মাধ্যমেও মনবদেহে অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধাতু প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে গবেষণার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শুধু এসব নয়, অন্যান্য প্রাকৃতিক খাবারের বিষয়েও গবেষণার উপর জোর দিতে হবে। এসব খাবারের পুষ্টিগুণ ও ক্ষতিকর দিক আছে কি না এসব গবেষণা করে জানতে হবে। কারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ নানা কারণে দূষিত হয়। বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমরা এসব বিষয়ে গবেষণা করতে চাই। দেশের স্বার্থে আমরা সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চাই। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মতো প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের সঙ্গে এগিয়ে আসে, তাতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলে আশা রাখছি। সবার আগে দেশের মানুষকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএসএমএমইউর প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক আব্দুন নাসের খান, সিনিয়র পরামর্শক মো. আইউব হোসেন, আইন কর্মকর্তা শেখ মো. ফেরদৌস আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।