সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধান

প্রথম ব্যাচের পারমাণবিক জ্বালানি রূপপুরে পৌঁছেছে

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আইএসপিআর

নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও কঠোর প্রটোকলের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক জ্বালানি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত শুক্রবার ভোর ৫টায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নির্দেশনায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঘঁপষবধৎ ঝবপঁৎরঃু ধহফ চযুংরপধষ চৎড়ঃবপঃরড়হ ঝুংঃবস ঈবষষ (ঘঝচঈ) এর প্রধান সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইরফানুল ইসলাম খান, পিএসসি’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম ব্যাচের জ্বালানি আনুমানিক দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে পাবনার রূপপুরে পৌঁছায়। এই কনভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নসহ অন্যান্য সব গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এতে অংশগ্রহণ করে।

পারমাণবিক জ্বালানি বাংলাদেশে আগমনের ফলে এরইমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৬২তম দেশ হিসেবে ‘নিউক্লিয়ার ক্লাব’ (ঘঁপষবধৎ ঈষঁন)-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রথম ব্যাচের পারমাণবিক জ্বালানি নিরাপদ পরিবহণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামগ্রিক অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন রূপে তুলে ধরার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে এক অন্যান্য বিপ্লবের অধ্যায় উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশান ফেডারেশন থেকে আমদানিকৃত প্রথম ব্যাচের পারমাণবিক জ্বালানি গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকাল ২.৩০ মিনিটে বিশেষ বিমানযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পারমাণবিক জ্বালানির আগমন উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত পারমাণবিক জ্বালানি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় নিরাপদ পরিবহণের লক্ষ্যে বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গতকাল বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন একাডেমি ভবনে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।