বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে কক্সবাজারকে পরিবেশবান্ধব এবং পরিকল্পিত বাসযোগ্য পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) আয়োজনে সেমিনারে বক্তারা জানান, এ লক্ষ্যে কক্সবাজারের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে।
এর আগে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লে-কার্ড নিয়ে র্যালিতে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। সবার গায়ে একই রঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ র্যালির সৌন্দর্য দ্বিগুণ করে।
বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাল্টিপারপাস হলরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কউক চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সোলাইমান, কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ সোলতান আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আশ্রয় আমার অধিকার’ এই বিষয়টি মাথায় রেখে স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকা শক্তি এই প্রতিপাদ্যে কউক বিশ্ব বসতি দিবস পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী তার ভিশন নিয়ে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করে পৃথিবীর কাছে পরিচিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রায় যে পরিকল্পনাগুলো আছে, তা ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনৈতিক দেশ। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারকে সবার জন্য বাসযোগ্য করতে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জেলাকে পরিকল্পিত নগরায়ন করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
নুরুল আবছার বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ঢেলে সাজাতে আরো ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত মাসেই পাঁচটি প্রস্তাবনা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর অনুমোদন ও অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ৬ বছরের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছেন কউক চেয়ারম্যান।
এ সময় কউক’র সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, কউক সচিব আবুল হাসেম, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র জিএম মো. আবু হেনা, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।