সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর অটো মিশুকচালক মোতালেব ভূঁইয়া সাগর (৩০) হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের সুমন সরকার (২৭)। ধীতপুর কানু গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৭) ও পৌর এলাকার গয়লা মহল্লার ওয়াজেদ (২৭)। গতকাল বিকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম (সদর সার্কেল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোতালেব ওরফে সাগর স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গয়লা মহল্লায় শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকত এবং অটো মিশুক চালিয়ে সংসার চালাচ্ছিল। প্রতিদিনের মতো গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে সে অটো মিশুক চালাতে বের হয়। পরবর্তীতে সে বাড়ি না আসায় তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকালে একই এলাকার রঘুরগাঁতী গ্রামের কাঁচা রাস্তার পাশে ফসলি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যার পর তার মরদেহ ওই স্থানে ফেলে রেখে যায়। এ ব্যাপারে তার বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডলের নির্দেশনায় ওসি সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের সার্বিক সহায়তায় এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং অটো মিশুক, চাকু, নাইলন সুতা ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিকাকে পাওয়ার আশায় মোতালেবকে পূর্বপরিকল্পনায় ওয়াজেদসহ সঙ্গীয়রা তাকে হত্যা করে মরদেহ ওই স্থানে ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ স্বীকারোক্তি দেয়। এ সংবাদ সম্মেলনে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসিবুল্লাহ, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সুমন চন্দ্র দাস এবং এসআই সাইফুল উপস্থিত ছিলেন।