সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ১৫৭৭ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৫৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে, যা আগস্টের তুলনায় বেড়েছে ২৭টি।

গতকাল মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬০৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২২৫টি, খুলনা বিভাগে ১৩২টি, সিলেট বিভাগে ৫৭টি, বরিশাল বিভাগে ৬০টি ও রংপুর বিভাগে ২৪৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমেছে। গত মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৬৬৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫৫টি আগুনের ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছে। কেউ নিহত হয়নি।

আরো দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, বারিধারা, উত্তরা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বারিধারা এলাকায় সেপ্টেম্বরে ১৬টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এতে আরো জানানো হয়, সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ৭৮৭টি বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়। এতে ৭৭৭ জন আহত ও ১৮৪ জন নিহত হন। যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫৯০টি। এ ছাড়া রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা ১০টি, গ্যাসলাইনে ত্রুটিজনিত ১৩টি, লিফট দুর্ঘটনা ১৫টি, বজ্রপাত ১৯টি, নদী ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ১১৫টি দুর্ঘটনা ঘটে। সারা দেশে নদী, পুকুর বা পানিতে ডুবে নিহত হন ৭৪ জন।

শুধু ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৯টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়। সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, পুরান ঢাকা এলাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৫৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২, রাজশাহী বিভাগে ২০১, খুলনা বিভাগে ৮৮, সিলেট বিভাগে ২৭টি, বরিশাল বিভাগে ৪১টি ও রংপুর বিভাগে ১১৪ টি দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সেপ্টেম্বরে সারা দেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৩৫৪টি কলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। এ ছাড়া ১১৫২টি কলের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৮ জন রোগী পরিবহন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে।