ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনীতে ঘুমের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ফেনীতে ঘুমের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ফেনীতে ঘুমের মধ্যেই আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল দুই শিশুর। পূর্ব বিরোধের জেরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে- এমন দাবি স্বজনদের। স্থানীয়রা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মা পলি আক্তার ও বাবা রনি পুত্র শোকে কাতর।

স্থানীয়রা জানায়, শহরের মধ্যম বিরিঞ্চি ফকির বাড়ি রনি হোসেনের বাসায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আগুন লাগে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। তাদের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রনি হোসেনের বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম শাহাদাতের দগ্ধ মৃতদেহ খাটের উপর থেকে উদ্ধার করা হয়। আর ছোট ছেলে রাহাদুল ইসলাম গোলাপকে খাটের নিচ থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সেও মারা যায়। পূর্ব বিরোধের জেরে পেট্রোল ঢেলে পাশের বাসার প্রতিপক্ষরা আগুন লাগিয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। নিহত দুই শিশুর পিতা রনি হোসেন জানান, কিছুদিন আগে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি আর আনোয়ার তাদের এক স্বজনের মৃতদেহ দাফন করতে গেলে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই আমাদের দেখে নেয়ার দফায় দফায় হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় তারা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। আর আগুন নিভাতে আসা স্থানীয়রা জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে ঘরটির প্রধান দরজার বাইরে থেকে রশি দিয়ে বেঁধে দেয়া ছিলো। এতে ধারণা করা হয়- হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়ার পূর্বে যাতে ঘর থেকে কেউ বের হতে না পারে সেজন্য এমনটি করেছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি স্বজনদের এমন অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। আগুনে পুড়ে দুই শিশু মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনার পরপরই সেখানে যান মেয়র। নিহত শাহাদাত সপ্তম আর গোলাপ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। তাদের মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফেনী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত