৫৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন
ঢাবি ক্যাম্পাসে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেম চালু
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেম চালু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৫৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্যদিয়ে এই সিস্টেমের কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গত মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রক্টর অফিস জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের তত্ত্বাবধানে গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণ থেকে কার্জন হল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ৫৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমে প্রবেশ করল ঢাবি। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে এই কার্যক্রম আরো জোরদার ও প্রসারিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থাপনায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এই ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্লেস সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এই কার্যক্রম আরো জোরদার ও প্রসারিত করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থাপনায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ই-সিকিউরিটি সার্ভিলেন্স সিস্টেমের যথাযথ ব্যবস্থাপনায় ও রক্ষণাবেক্ষণে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
এদিকে এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় এই সিসিটিভি স্থাপন পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তবে এই পদ্ধতি যাতে ঠিকভাবে কাজ করে সেটাই প্রত্যাশা করছেন শিক্ষার্থীরা।