ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভ্যানচালক রাসেল হত্যার রহস্য উদঘাটন

ভ্যানচালক রাসেল হত্যার রহস্য উদঘাটন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর ভ্যানচালক কিশোর রাসেল (১৫) হত্যা মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত জাহাঙ্গীরকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে ওই উপজেলার চরাচিথুলীয়ার মন্ডলপাড়া গ্রামের সাঈদ মন্ডলের ছেলে। গতকাল দুপুরে শাহজাদপুর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাহাঙ্গীর অভাবের তাড়নায় ভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনা মোতাবেক রোববার সন্ধ্যায় কিশোর রাসেলকে চরাচিথুলিয়া গ্রামের মন্ডলপাড়াতে ঘোষি আনার জন্য ৭০ টাকায় ভাড়া করে এবং মাঠের মধ্যে বস্তা আছে বলে তাকে নিয়ে প্রথমে ধান খেতের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে তার মাথায় আঘাত করে পরনের লুঙ্গি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে মোবাইল ও ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওইদিন নিহত কিশোরের বাবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেখে রাসেলকে শনাক্ত করে। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। সে পার্শ্ববর্তী পাবনার ফরিদপুর উপজেরার ডেমরা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল, ভ্যানের চাবি, নগদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সংবাদ সম্মেলনে ওসি খায়রুল বাশার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাকোয়াত হোসেন ও অনান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের

৩ সদস্য গ্রেপ্তার : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২ সদস্যরা। তারা হলো, উল্লাপাড়া উপজেলার ঘোনাগানজানী গ্রামের রমজান আলী (১৯), মাসুদ রানা (২৯) ও সলংগা থানার হাটিপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২২)। র‌্যাব-১২-এর কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫টি চোরাই মোবাইল ফোন ও ২২টি চার্জার উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ছিল। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত