মৎস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে মাছ ধরার ধিয়াল ধারকি কেনার হিড়িক পড়েছে। এ ধিয়াল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কারিগররা। টানা বর্ষণে এ অঞ্চলের খাল বিল ভরে ওঠায় ধিয়ালের কদর বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের খালবিল, নদীনালা পানিতে ভরে উঠছে। বিশেষ করে চলনবিল এলাকার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ধিয়াল পেতে মাছ ধরছে স্থানীয়রা। ধিয়ালের এ মাছ হাট-বাজারে বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সেইসঙ্গে বাঁশের তৈরি ধিয়াল ও ধারকি বিভিন্ন হাট-বাজারে কেনার হিড়িক পড়েছে। এ অঞ্চলের তৈরি ধিয়াল সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে পাইকারি ও খুচরা ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়েছে এর মধ্যেই।
প্রতি জোড়া ধিয়ালের দাম এখন ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এ ধিয়াল তৈরিতে খরচ হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সবচেয়ে বেশি এ ধিয়াল ও ধারকি বিক্রি হচ্ছে প্রতাপ, বয়লা, মহোনপুর, সলংগা, রাণীরহাট, নওগাঁহাট, নাদোসৈয়দপুর ও চান্দাইকোনা হাটে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় হাট-বাজারে ধিয়াল ও ধারকি বিক্রিতে হাটের ইজারাদাররা খাজনা বেশি নেয়া হয়। এতে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইজারাদারদের ঝগড়া হয়ে থাকে। এ কারণে চলনবিল এলাকার ধিয়াল তৈরির কারিগরের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজর দেয়া প্রয়োজন বলে অনেকেই এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।