আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আগামী ৩ মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা গোটা পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কোনো দল এই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। কোনো ষড়যন্ত্র করেই এই নির্বাচন বানচাল করা যাবে না বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত দোখলা রেস্ট হাউজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও বন বিভাগের দুইটি ব্যারাক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের একটি বড় দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চেষ্টা করছে, আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু বর্তমান পুলিশ প্রশাসন খুবই তৎপর রয়েছে। তারা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। এদেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে। এদেশের মানুষ যদি আবারও প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেয় তাহলে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন যদি কোনো দেশ বানচাল করার চেষ্টা করে, তাহলে সেই ষড়যন্ত্রও আমরা মোকাবিলা করব। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ক’জন মানুষ যায়। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কী করবে। গুলশান-বানানীর বড় লোকের ছেলেরাই আমেরিকায় যায়। তারা না গেলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না। দুয়েকজন মন্ত্রী না গেলেও ক্ষতি হবে না। আমরা কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করি নাই; অনিয়ম করে থাকলে আমরা জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। ভিসা দিয়ে আমেরিকা যেতে পারব না, এটা আমাদের কাছে কোনো বিষয় না। ৯ মাস একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অর্থনৈতিকভাবে যদি তারা স্যাংশন দেয়, আমরাও দেখব কীভাবে মোকাবিলা করা যায়। মধুপুরের বন দেশের জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়। ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বনরক্ষা করা খুবই কঠিন। নানা কারণে বনের অনেকটা ধ্বংস হয়েছে। মধুপুরের বন রক্ষার জন্য আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যারা বন কাটত, তাদের আমরা বনরক্ষার জন্য ভলান্টিয়ার করেছি। মধুপুরে সামাজিক বনায়নে ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আক্তার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।