ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫০ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে কালভার্ট ভেঙে ১০ গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা বাজার থেকে মরিচার গ্রাম হয়ে ফাতেমা নগর (কালীবাজার) পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কে চারটি কালভার্ট ভেঙে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ১০ গ্রামের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। সরেজমিন দেখা গেছে, মরিচারচর বালুর ঘাট মুন্সী বাড়ি-সংলগ্ন খালের পানিতে ভেঙে পড়ে আছে কালভার্ট। এলাকাবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রবল স্রোতে কালভার্টের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণেই কালভার্টটি ভেঙে পড়ে যায়। এখান থেকে উচাখিলা বাজারের দিকে একটু সামনে এগোতেই বটতলা মোড় সংলগ্ন আরো একটি কালভার্ট ভেঙে সড়কের দুই পাশ কালভার্ট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতেই উচাখিলা মরিচারচর, চরআলগী, টানপাড়া, টান মলামারি, মাইজ পাড়া ও হাশের আলগীসহ ১০ গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়েছে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ঈশ্বরগঞ্জ, উচাখিলা, রাজিবপুর এবং ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে ত্রিশাল, কালীবাজার ও ময়মনসিংহে দৈনিক ১০ হাজারেরও বেশি লোক যাতায়াত করেন এই সড়ক দিয়ে। চর আলগী গ্রামের মো. আবুল কালাম (৫৫) বলেন, এই রাস্তা দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার লোক, ৫০০ থেকে ৬০০ শত অটোরিকশা, সিএনজিসহ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। আমরা উচাখিলা ও ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। রাস্তা ও ব্রিজ ভেঙে পরায় আমার খুব খারাপ অবস্থায় আছি। আশপাশের ১০ গ্রামের প্রায় ১৮ হাজার লোক এতে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারের কাছে দাবি আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কালভার্টগুলো যেন দ্রুত মেরামত করে দেয়। স্থানীয় আমিনুল হক (১৮) বলেন, প্রবল স্রোতে কালভার্টের দুই পাশ থেকে মাটি সরে গিয়েছিল। এছাড়া কালভার্টগুলো দীর্ঘদিনের পুরোনো যেকারণে মাটি সরে যাওয়াতে ভেঙে গেছে। এতে আমাদের মতো ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসী চরম বিপাকে পড়েছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদ আহমেদ বলেন, বৃষ্টিতে সারা দেশেই অনেক স্থাপন ভেঙে গেছে। হেডকোয়ার্টারে নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন এলাকার ভেঙে যাওয়া স্থাপনার লিস্টিং চলছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা দেওয়া হবে।