আদিলুর-এলানের হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর

তথ্য প্রযুক্তি আইনে আনা মামলায় ও বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সাজার বিরুদ্ধে আনা তাদের আপিল, শুনানির জন্য গ্রহণ (অ্যাডমিট) করে বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন।

আদিলুর রহমান খান ও নাসির উদ্দিন এলানের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আপিল করা হয়। আপিলে খালাসের পাশাপাশি তারা জামিনের আর্জিও পেশ করেন।

এর আগে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আনা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড হবে। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৩ সালে দায়ের হওয়া এই মামলার আসামি অধিকারের সম্পাদক আদিলুর ও সংগঠনটির পরিচালক নাসির। তারা দুজনই জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে নেয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ে সাজা আইনানুগ হয়নি বলে দাবি রাষ্ট্রপক্ষের। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় সাজা ৭ বছর হলেও এ আসামিদের সাজা হয় ২ বছর।

রায়ে বলা হয়, আসামিদের অতীতে অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই। পাশাপাশি তাদের সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে মামলায় রায় দেয়া হয়।

এটি আইনানুগ হয়নি বলে মনে করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারা সাজা বৃদ্ধির আর্জি পেশ করে আপিল করার কথা জানায়।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় ৬১ জন নিহত হওয়ার কথা দাবি করেছিল অধিকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই সংখ্যাটি ১৩ বলে জানানো হয়। সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ওই বছরের ১০ জুন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে সেটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।