বর্ণাট্য আয়োজনে জবিতে উদযাপিত হলো প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জবি প্রতিনিধি
বর্ণাট্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, আনন্দ র্যালি, প্রকাশনা উৎসব, চারুকলা প্রদর্শনী, নাটক পরিবেশনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজ ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হলেও এবার একদিন এগিয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক নেতারা, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভীর ও সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন শেষে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ র্যালি শহিদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, ভিক্টোরিয়া পার্ক পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শেষ হয়। প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সমিতি, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নিজস্ব বিভাগীয় ব্যানারে র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। ছাত্রছাত্রীরা নানা রঙ-বেরঙের টি-শার্ট ও শাড়ি পরে নেচে গেয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে প্রকাশনা প্রদর্শনী, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী-২০২৩ এর উদ্বোধন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এতে বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ও অন্যান্য শিল্পকর্ম স্থান পায়। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগের উদ্যোগে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ নাটক মঞ্চায়িত হয়। এছাড়া বিশেষ আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যান্ডদলের অংশগ্রহণে কনসার্ট।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সমৃদ্ধ অতীত রয়েছে। এটি তার গৌরবান্বিত ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করি।