বাচ্চাদের নিয়ে সিনেমা হলে ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ দেখলেন তথ্যমন্ত্রী
বললেন সবার দেখা প্রয়োজন
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
পরিবারের বাচ্চা থেকে বড় সব বয়সের সদস্যদের নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ দেখেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের স্টার সিনেপ্লেক্সে সকালের প্রদর্শনীতে পঞ্চমবারের মতো সিনেমাটি দেখা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সম্প্রচারমন্ত্রী। সাংবাদিকরা তার পুত্র সাফওয়ানের সঙ্গেও কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিনেমাটি সবার দেখা প্রয়োজন। আমি বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। কারণ, মুখে বলে ইতিহাস জানানো যায়, কিন্তু সেটি যখন ছবিতে দেখা হয়, তখন হৃদয়ে গেঁথে যায়। এ জন্য নতুন প্রজন্মের সবার সিনেমাটি দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
সিনেমাটি হলে দেখতে আসা নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমার পঞ্চমবার ছবিটি দেখা হলো। সিনেমাটি বানানোর সময় দু’বার দেখেছি। টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একবার দেখেছি, তারপর প্রিমিয়ার শো’তে দেখেছি, আর আজকে বাচ্চাদের নিয়ে হলে এসেছি।’
সিনেমা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত: এই সিনেমার নামই বলে দেয় ছবিতে কি দেখাচ্ছে- ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’, ‘মুজিব-দ্য মেকিং অব আ নেশন’। এই ছবিটি দেখলে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু কীভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে, বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিচল ছিলেন, কীভাবে তিনি মৃত্যুকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দৃঢ়চিত্তে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’
বায়োপিকটির বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে ৩ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ইতিহাস সংক্ষেপে জানা, কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এলো, বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়ে উঠলেন, সেটি এ ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে।’
আমার যথেষ্ট বয়স, তবুও অনেক কিছু আমার দেখা হয়নি যা এ ছবিতে আছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যেমন সোহরাওয়ার্দীকে আমি দেখিনি। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকেও সেভাবে দেখা হয়নি। কাগজে, পত্র-পত্রিকায় যেটুকু দেখেছি এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক যে বিষয়টি, ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এখানে চিত্রায়িত হয়েছে। খুনিরা যে কিরকম পাষ- ছিল, নির্মম ছিল, ১৫ আগস্টের চিত্রায়নটি দেখলে সেটি অনুধাবন করা যায়। আমি পাঁচবার দেখার পরও ইমোশন ধরে রাখতে পারিনি, পারছি না।’
উল্লেখ্য, ১৩ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহের প্রায় ২০০ পর্দায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর এ চলচ্চিত্র।
ভারতের শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এছাড়া রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ ও মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক অভিনয়শিল্পী সিনেমাটিতে কাজ করেছেন।