কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণিল র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও টি-শার্ট নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসনের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ কক্সবাজারের উদ্যোগে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ঐতিহ্যগতভাবে রাস্তার ওপর হাট বাজার বসানো হয়। বিশেষ করে গরুর বাজারগুলো দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তাই আগামী অর্থবছর থেকে রাস্তার ওপর থেকে সব বাজার সরানো হবে। এতে কমে আসবে দুর্ঘটনা। তিনি আরো বলেন, চালকদের অদক্ষতা ও অসচেতনতার কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে। মানতে হবে ট্রাফিক আইন। এছাড়া সন্তানদের বাইক কিনে দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, অন্য জেলায় গাড়ির জন্য মানুষ অপেক্ষা করে, আর কক্সবাজারে গাড়ি মানুষের জন্য অপেক্ষা করে। তাই সরকার কক্সবাজার আর রাজশাহীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাদিয়া আফরোজ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কক্সবাজারের সভাপতি জসিম উদ্দিন কিশোর প্রমুখ। এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) উথোয়াইনু চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেলেন তিন পরিবার। এক পরিবার ৫ লাখ টাকা করে ১৫ লাখ টাকা পেয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রাপ্ত ট্রাস্টি বোর্ডের অনুকূলে দাখিলকৃত সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির জন্য বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক (আইন) শেখ মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত সুপারিশকৃতরা হচ্ছেন- মহেশখালীর পানিরছড়া গুলগুলিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র মৃত নুরুল হাসেম (যার রেজি. নং-১৫৬); দুর্ঘটনাস্থল কক্সবাজারের মহেশখালী। মহেশখালীর বড় মহেশখালী ফকিরা ঘোনার মৃত আবদুল গণির পুত্র মৃত মুহাম্মদ আলম রায়হান (যার রেজি. নং-২৪৯); দুর্ঘটনাস্থল, কক্সবাজারের সদর। যশোরের বাঘারপাড়ার মামুদালিপুরের মৃত ছাত্তার মোল্লার ছেলে ইমারত মোল্লা (যার রেজি. নং-১০৪); দুর্ঘটনাস্থল কক্সবাজারের উখিয়া।