গভীর নিম্নচাপ
বিক্ষুব্ধ সাগর বন্দরে তিন নম্বর সংকেত
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি আরো শক্তি সঞ্চয় করেছে। এর কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এতে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় সব সমুদ্রবন্দরে তোলা হয়েছে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
নিম্নচাপটি গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে অতি স্বল্প সময়ের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। কোথাও কোথাও রয়েছে ঝড়ের পূর্বাভাসও। আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, রাতের মধ্যে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তখন এটির নাম হবে ‘হামুন’। এটি বাংলাদেশ উপকূলের দিকেই আসতে পারে।